গ্রেফতারের পর আবু বকর নামে এক ফ্রিল্যান্সারের অ্যাকাউন্ট থেকে তিন কোটি টাকা সরিয়ে নেওয়ার অভিযোগে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) সাত সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজনকে কারণ দর্শানোর পাশাপাশি অন্য ছয়জনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলার নির্দেশ দেওয়া হয়।
সাময়িক বরখাস্ত হলেন সিএমপির ডিবির পরিদর্শক রুহুল আমিন, উপ-পরিদর্শক (এসআই) আলমগীর হোসেন, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) বাবুল মিয়া, শাহপরান, মইনুল হোসেন, কনস্টেবল জাহিদুর রহমান ও আবদুর রহমান।
সিএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (গণমাধ্যম) স্পিনা রানী প্রামাণিক বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ফ্রিল্যান্সারের অনলাইন অ্যাকাউন্ট থেকে ডলার সরিয়ে নেওয়ার অভিযোগ আসার পর পুলিশ কমিশনারের নির্দেশে একটি তদন্ত কমিটি হয়। গত বৃহস্পতিবার কমিটি কমিশনারের কাছে প্রতিবেদন জমা দেয়। প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার নির্দেশ দেন পুলিশ কমিশনার। সাত পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ছয়জনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর পরিদর্শক রুহুল আমিনকে তলব করে কারণ ব্যাখ্যা চেয়েছেন পুলিশ কমিশনার।
এর আগে ২৬ ফেব্রুয়ারি আবু বকর সিদ্দিককে নগরীর অক্সিজেন এলাকার বাসা থেকে তুলে নেয় গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল। পাশাপাশি ফয়জুল নামে আরেকজনকে বায়েজিদ বোস্তামী থানার গুলবাগ আবাসিক এলাকা থেকে তুলে নেয় ডিবির দলটি। ওই রাতে তাদের নগরীর মনসুরাবাদে ডিবি হেফাজতে রাখা হয়। পরদিন বিকেলে অনলাইনে জুয়া খেলার অভিযোগ এনে সিএমপি অধ্যাদেশে নন-এফআইআর মামলায় দুজনকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। আদালত তাদের জরিমানা করে জামিন দেন।
মুক্তি পাওয়ার পর আবু বকর অভিযোগ করেন, ডিবি হেফাজতে থাকাকালে তার মুঠোফোন ব্যবহার করে দুটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে পাঁচ লাখ করে ১০ লাখ টাকা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে অন্য একাউন্টে ট্রান্সফার করে নেয় ডিবির দলটি। পাশাপাশি তার বাইন্যান্স অ্যাকাউন্ট থেকে ২ লাখ ৭৭ হাজার ডলার (প্রায় ৩ কোটি টাকার অধিক) অন্য হিসাবে স্থানান্তর করে নেওয়া হয়।