বাংলাদেশ নারী সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ ফুটবল দলের ফাইনাল জয়ী গোলকিপার ইয়ারজানের দরিদ্র পরিবারকে নগদ অর্থ এবং খাদ্যসামগ্রী উপহার নিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছে র্যাব।
সাফ অনুর্ধ-১৬, ফাইনালে বাংলাদেশের জয়ের নায়িকা হয়ে ওঠেন গোলরক্ষক ইয়ারজান বেগম। টাইব্রেকারের ভাগ্য নির্ধারণে ভারতের ৩টি প্রচেষ্টা ঠেকিয়ে দেন এই গোলরক্ষক। অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হিসেবে জয় পায় বাংলাদেশ। এর আগে অনূর্ধ্ব-১৫ শিরোপা জিতলেও এই প্রথমবারের মতো সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ টুর্নামেন্টের শিরোপা জিতেছে বাংলাদেশ নারী দল। আর এই জয়ের পেছনে যার মূখ্য ভূমিকা, তিনি বাংলাদেশ দলের গোলরক্ষক ইয়ারজান।
পঞ্চগড় জেলার খোপরাবান্দি গ্রামে বাড়ি ইয়ারজান বেগমের। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বেড়ে ওঠা আর দশটা কিশোরীকে যেমন প্রচুর বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে খেলাধুলা করতে হয়, ইয়ারজানকেও পেরোতে হয়েছে তেমনি বাধার দেয়াল। দারিদ্র্য পিছু ছাড়েনি৷ বাবা হাঁপানি রোগী, মা অন্যের বাড়িতে ঝি এর কাজ করেন।
র্যাব-১৩ এর রংপুর সিও কমান্ডার আরাফাত ইসলাম সময় সংবাদকে বলেন, ‘গত দুদিন আগে সুন্দর একটি খেলা উপহার দিয়েছেন ইয়ারজান বেগম। তবে মঙ্গলবার সকালে সময় টিভিতে তার জীবন ও বাড়ির অবস্থা নিয়ে সংবাদ প্রচার হলে আমার র্যাব-১৩ এর অফিসারদের সঙ্গে নিয়ে ছুটে এসেছি। আমরা ইয়ারজানের বাবা-মা ও আত্মীয় স্বজনের সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা দেখলাম, আসলে তারা খুবই দরিদ্র। এজন্য আমি র্যাব-১৩ ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের পক্ষ থেকে রমজানের কিছু উপহার এবং কিছু অর্থ সাহায্য নিয়ে এসেছি। আমার মতো অন্যরাও যদি এগিয়ে আসে তাহলে আমরা আমাদের এই সম্ভাবনাময় যে মুখগুলো আছে, তাদেরকে আরও এগিয়ে নিতে পারবো। দেশের ক্রীড়া ক্ষেত্রকে আরও সমৃদ্ধি করতে পারবো।’
তিনি আরও বলেন, ‘যতটুকু দেখলাম তার বাড়ির অবস্থা তেমন ভালো না হওয়ায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন তাদের পাশে থাকবে। যতটুকু সমস্যা রয়েছে সমাধানে কাজ করে যাবে। কারণ র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের একটি মানবিক ফোর্স।’
এসময় উপস্থিত ছিলেন, র্যাব-১৩ এর মেজর ওমর ফারুক, লে. কমান্ডার মেহেদী হাসান, র্যাব-১৩ অতিরিক্তর পুলিশ সুপা খন্দরকার গোলাম মুর্তুজা, স্কেয়াড্রন লিডার মাহমুদ বশির আহমেদ।
কমান্ডার আরাফাত জানান, র্যাব সব সময় ভালো কাজের সঙ্গে। ইয়ারজানের আগামী দিনের পথচলায় অনুপ্রেরণা জোগাতে পেরে র্যাব গর্বিত। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে ইয়ারজানের মতো আরও খেলোয়াড় উঠে আসবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।