ভারতে অস্ত্র বানানো শিখে এসে দেশে তা তৈরি ও বিক্রি করছিলেন মোখলেছুর রহমান (৪২)। সঙ্গে যুক্ত হন আরও কয়েকজন। এবার পুরো চক্রের ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
মঙ্গলবার (১২ মার্চ) ভোরে পৃথক দুটি অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। ঢাকার কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
র্যাব বলছে, সোমবার রাত ১১টার দিকে বাড্ডা এলাকায় অভিযান চালিয়ে দুজনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এরপর মঙ্গলবার ভোরে আরেক অভিযানে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন, মোখলেছুর রহমান (৪২), তানভির আহম্মেদ (৩২), অনিক হাসান (২৮), আবু ইউসুফ ওরফে সৈকত (২৮), রাজু হোসেন (৩৮) এবং আমির হোসেন।
র্যাব জানায়, চক্রের প্রধান মোখলেছুর রহমান প্রায় এক যুগ ধরে ভারতের কলকাতা ও শিলিগুড়িতে মূর্তি ও ভাস্কর্য তৈরি করছিলেন। সেখানে সুকুমার নামক এক অস্ত্র তৈরির কারিগরের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। সুকুমারের কাছ থেকে তিনি অস্ত্র তৈরির দক্ষতা অর্জন করেন। এখন তিনি দেশে অস্ত্র তৈরি ও বিক্রি করছেন। তবে তিনি এখনও নিয়মিত ভারতে আসা-যাওয়া করেন। গ্রেপ্তার ছয় ব্যক্তির মধ্যে তিনিও আছেন।
র্যাব-১০–এর অধিনায়ক অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (অতিরিক্ত ডিআইজি) মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন বলেন, মোখলেছুরের অন্যতম সহযোগী তানভির একজন লেজার সিএনসি ডিজাইনার। তিনি নকশা অনুযায়ী বিভিন্ন অস্ত্রের যন্ত্রাংশ তৈরির কাজ করতেন। অনিক ও সৈকত মূলত এসব অস্ত্র বিক্রির কাজটি করতেন। একেকটি অস্ত্র তারা তিন লাখ টাকায় বিক্রি করতেন।