বুধবার , ১৩ মার্চ ২০২৪ | ১২ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. আইটি বিশ্ব
  4. আইন-বিচার
  5. আন্তর্জাতিক
  6. ইসলাম
  7. ঈদুল ফিতর
  8. ক্রিকেট
  9. খেলা-ধুলা
  10. জাতীয়
  11. দুর্ঘটনা
  12. ফুটবল
  13. বাংলাদেশ
  14. বিনোদন
  15. রাজনীতি

টাকা না দিলে মেরে ফেলবে নাবিকের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী

প্রতিবেদক
ঢাকা ডেইলি ডেস্ক
মার্চ ১৩, ২০২৪ ৮:৪৬ পূর্বাহ্ণ   প্রিন্ট সংস্করণ

সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর প্রধান কর্মকর্তা (চিফ অফিসার) ছিলেন মো. আতিক উল্লাহ খান। জাহাজটি জিম্মি হওয়ার পর স্ত্রী মিনা আজমিনকে পাঠানো শেষ বার্তায় তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছ থেকে মোবাইল নিয়ে নিচ্ছে। ফাইনাল কথা হচ্ছে, এখানে যদি টাকা না দেয়, আমাদের মেরে ফেলবে। এই বার্তাটা সবদিকে পৌঁছে দিও।’

মঙ্গলবার (১২ মার্চ) প্রথম রোজার ইফতারের পর স্বামীর পাঠানো এই মেসেজ পেয়ে বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন আতিক উল্লাহ খানের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় রাতেই নগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আতিক উল্লাহ খানের মা শাহনুর বেগম বলেন, ‘আমরা যখন ইফতার করছিলাম, এর মাঝেই আমার ছেলে ভয়েস মেসেজে জানায়, তাদের সবার মোবাইল নিয়ে নেওয়া হচ্ছে। জাহাজটি সোমালিয়া নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, “কিছুক্ষণ পর তার স্ত্রীকে পাঠানো মেসেজে জলদস্যুরা টাকা দাবি করেছে বলে জানায়, না হলে ওদের মেরে ফেলবে। বিষয়টা সবাইকে জানাতে বলেছে সে। এটা শোনার পর থেকে আতিকের স্ত্রী বারবার বেহুশ হয়ে যাচ্ছে। সে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। আরও তিনটা মেয়ে আছে। মেয়েরা বারবার এসে জানতে চাইছে, কান্নাকাটি করছে, ‘আমাদের বাবা কোথায়’ বলে।”

এর আগে মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে আতিক তার স্ত্রী মিনাকে বলছিলেন, ‘কয়েক দিন আমাকে ফোনে পাবে না। আমি নেটওয়ার্কের বাইরে থাকবো।’

জিম্মি নাবিক আতিকের বাড়ি চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলায়। মা, স্ত্রী ও তিন মেয়েকে নিয়ে তিনি থাকতেন শহরের নন্দনকানন এলাকায়।

আতিক উল্লাহ খানের বন্ধু জুলকার নাইম জাগো নিউজকে বলেন, ‘বিকেল (মঙ্গলবার) সাড়ে ৪টার দিকে আমাকে ভয়েস মেসেজ পাঠায় আতিক। সে বলে, ‘দোয়া করিস, পরিবারকে দেখাশোনা করিস।’ ওই এক মিনিটই কথা হয়েছে। ওয়াসরুম থেকে এ কথাগুলো বলেছিল সে। এরপর আর যোগাযোগ হয়নি।’

মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টার দিকে ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়া বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহতে জিম্মি আছেন ২৩ জন বাংলাদেশি নাবিক ও ক্রু। আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিক থেকে কয়লা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে জাহাজটি জলদস্যুর কবলে পড়ে। এরপর বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে জাহাজটি ভারত মহাসাগর থেকে সোমালিয়া নিয়ে যাওয়ার কাজ শুরু করে দস্যুরা। বর্তমানে নাবিকদের ইন্টারনেট কানেকশন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।

সর্বশেষ - জাতীয়