অবশেষে নিয়ন্ত্রণে এসেছে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ার হোসেন্দির সিকিরগাঁওয়ে সুপার বোর্ড কারখানার ভয়াবহ আগুন। এ আগুন নিয়ন্ত্রণে রবোটিক অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রও ব্যবহার করা হয়। পুরোপুরি নেভাতে এখনো চলছে কাজ। তবে ১০ বছরের ব্যবধানে ভয়াবহ আগুনের পুনরাবৃত্তি কারণ অনুসন্ধানে কাজ করছে তদন্ত কমিটি।
এর আগে, রোববার (২৪ মার্চ) দুপুরে মুন্সীগঞ্জের মেঘনা তীরের হোসন্দির সুপার বোর্ড কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট ছাড়াও দুটি জাহাজ অনবরত পানি ছিটিয়েও কাবু করতে পারছিল না। পরে সন্ধ্যায় ভারি বৃষ্টির পর আগুন ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণে আসতে থাকে।
আগুন নিয়ন্ত্রণে এখানে ব্যবহার করা অগ্নিনির্বাপণের রবোটিক যন্ত্র। ফ্যাক্টরি ঘেঁষা মেঘনা নদী থেকে অনবরত পানি ছোঁড়া হয় আগুনের কুণ্ডলীতে। এ কাজে ফায়ার সার্ভিসের ১৪৭ নিয়োজিত হয়।
ফায়ার সার্ভিস বলছে, রাত ১২টার দিকে আগুন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ হয় ২২ ঘণ্টা পর সোমবার বেলা ১১টায়। আর শেডের ভেতরে থাকা সুপার বোর্ড এবং আগুনের তাপে লণ্ডভণ্ড শেডগুলো ডাম্পিংয়ে ব্যবহার করা হয় এস্কাভেটর।
তিনি আরও বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ক্ষতি ১৫ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে।’
২০১৩ সালের পর আবার ২০২৪ সালে আগুনের এই পুনরাবৃত্তির কারণ অনুসন্ধানে জেলা প্রশাসনের ৫ সদস্যদের কমিটি তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।