সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানায়, বিক্ষোভ করার সময় তেল আবিবের রাজপথ থেকে অন্তত পাঁচজন আটক হয়েছেন। ইসরাইলি পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ‘দাঙ্গাকারী’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
বিক্ষোভকারীদের সরাতে পুলিশ জলকামানও ব্যবহার করেছে। তাদের জোরপূর্বক সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। ইসরাইলের আরও কয়েকটি শহর থেকেও বিক্ষোভের খবর পাওয়া গেছে।
এদিকে সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ইসরাইলি বাহিনী ফের ঘেরাও করেছে আল নাসের হাসপাতাল। ভারী সমরযান নিয়ে ঘিরে রেখেছে হাসপাতাল প্রাঙ্গণ। সেখানে যেকোনো সময় অভিযান চালানো হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এছাড়া রাফাহ’য় বোমা বর্ষণ করে আরও একটি মসজিদ গুড়িয়ে দিয়েছে দখলদাররা। গাজার পাশাপাশি পশ্চিম তীরের জেনিনেও হামলা চালিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী। ড্রোন হামলায় ঘটেছে হতাহতের ঘটনা।
পরিস্থিতি বিবেচনায় জরুরি ভিত্তিতে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানাচ্ছে ইউরোপীয় দেশগুলো। অবিলম্বে সংঘাত বন্ধে নেতানিয়াহু প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন অঞ্চলটির ২৬ পররাষ্ট্রমন্ত্রী। রাফাহ’য় অভিযান চালালে এর পরিণত ভয়াবহ হবে বলে আশঙ্কা তাদের।
পাঁচজনকে আটক করার কথা জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স পোস্টে ইসরাইলের পুলিশ জানিয়েছে, তারা সড়কে যান চলাচলে বাধা তৈরি করেছিলেন। পুলিশের নির্দেশনা মানেননি।
হামাসের হাতে জিম্মি থাকা ইসরাইলি অবিলম্বে ছাড়িয়ে আনতে একটি চুক্তি সই করার দাবি বিক্ষোভকারীদের। তাদের দাবি, জিম্মিদের মুক্ত করতে ব্যর্থ হয়েছেন নেতানিয়াহু। এজন্য নেতানিয়াহু সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়তে হবে নেতানিয়াহুকে।
আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে ইসরাইলি দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে শুনানির মধ্যেই অবরুদ্ধ গাজায় হামলা আরও জোরদার করেছে তেল আবিব। মধ্যাঞ্চলে আবাসিক ভবনে বোমা বর্ষণে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৪০ জন। আহত হয়েছেন শতাধিক। আগ্রাসন অব্যাহত রয়েছে দখলকৃত পশ্চিম তীরেও।
এদিকে, গাজায় নতুন করে যুদ্ধবিরতির আলোচনায় আবার গতি পেয়েছে। আলোচনা করতে শনিবার ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে গেছে ইসরাইলের প্রতিনিধিদল। এতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ইসরাইলেল গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের প্রধান ডেভিড বার্নেয়া।
বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে জানানো হয়, প্যারিসে গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য মধ্যস্থতা করা তিন দেশ মিশর, কাতার ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করবে ইসরাইলের প্রতিনিধিদল।
অন্যদিকে ইসরাইলের দখল করা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড নিয়ে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের শুনানিতে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে দাঁড়িয়েছে চীন। দেশটি জানিয়েছে, বিদেশি নিপীড়ন প্রতিরোধে শক্তি প্রয়োগ এবং একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ফিলিস্তিনি জনগণের পূর্ণ অধিকার।
ফিলিস্তিনিদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় তাদের ন্যায়সঙ্গত চাওয়ার প্রতি অব্যাহতভাবে সমর্থন জানিয়ে যাওয়ার কথাও জানিয়েছে চীন। বৃহস্পতিবার আইসিজে’র শুনানিতে চীনসহ ১২টি দেশের প্রতিনিধিরা তাদের বক্তব্য উপস্থাপন করেন।
সূত্র: আল জাজিরা, সিজিটিএন
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ মোহাম্মদ শাওন
২৫/২ লারমিনি ষ্ট্রীট, ওয়ারী, ঢাকা।
ইমেইলঃ newsdesk@dhakadaily.com.bd
© ঢাকা ডেইলি