২০৪১ সালে একটি আধুনিক, সুখী-সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হলে বাণিজ্যের আধুনিকায়ন অপরিহার্য। এ ক্ষেত্রে বাণিজ্য হতে হবে স্মার্ট। এফবিসিসিআই আয়োজিত ‘স্মার্ট ট্রেড ফর স্মার্ট বাংলাদেশ: ওয়ে ফরওয়ার্ড’ বিষয়ক এক সেমিনারে ব্যবসায়ীরা এ কথা বলেন।
রোববার (মার্চ ৩) বিকেলে এফবিসিসিআইয়ের বোর্ড রুমে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, পণ্য আমদানি ও রপ্তানিতে এলসি খোলার ক্ষেত্রে এখন বর্তমানে যথেষ্ট শিথিলতা অবলম্বন করা হচ্ছে। আমাদের এখন সংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো নিয়ে কাজ করতে হবে। এসময় বিভিন্ন খাতের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা ও কমপ্লায়েন্স নিশ্চিতে সংশ্লিষ্ট অ্যাসোসিয়েশনগুলোকে আরও সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ই-ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াহেদ তমাল। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআইয়ের প্যানেল উপদেষ্টা পলিসি এক্সচেঞ্জ অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান এম মাশরুর রিয়াজ, অনন্য রায়হান প্রমুখ।
এসময় এফবিসিসিআইয়ের সহ-সভাপতি মো. খায়রুল হুদা চপল, রাশেদুল হোসেন চৌধুরী (রনি), মো. মুনির হোসেন, এফবিসিসিআই পরিচালক এবং সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, সরকার সবসময় ব্যবসায়ী সম্প্রদায়কে সঙ্গে নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী। আমাদের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি ব্যবসা-বাণিজ্য। তাই সরকার দেশের ব্যবসা ও বাণিজ্যের পরিবেশ উন্নয়নে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। সুষ্ঠু ব্যবসার পরিবেশ নিশ্চিতে সরকার অতীতের মতো ভবিষ্যতেও ব্যবসায়ীদের নীতিসহায়তা প্রদানে বদ্ধপরিকর। আন্তঃসীমান্ত বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ভ্যালু চেইন উন্নয়নে সরকারি ও বেসরকারি খাতকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এর আগে স্বাগত বক্তব্যে এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, বাংলাদেশ আজ বিশ্ব অর্থনীতিতে এক উদীয়মান শক্তি। এই টেকসই প্রবৃদ্ধির মূলে রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্ব ও সাহসী পদক্ষেপ। সেই সঙ্গে ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে গত দেড় দশক ধরে আইসিটি খাতকে উৎসাহিত করার মাধ্যমেই সূচিত হয়েছে অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের এক নতুন অধ্যায়।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, পণ্য আমদানি ও রপ্তানিতে এলসি খোলার ক্ষেত্রে এখন বর্তমানে যথেষ্ট শিথিলতা অবলম্বন করা হচ্ছে। আমাদের এখন সংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো নিয়ে কাজ করতে হবে। এসময় বিভিন্ন খাতের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা ও কমপ্লায়েন্স নিশ্চিতে সংশ্লিষ্ট অ্যাসোসিয়েশনগুলোকে আরও সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।